
শ্রীলঙ্কায় দারিদ্র্যের হার উদ্বেগজনকভাবে বেশি: বিশ্বব্যাংক
Progga News Desk:
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি খারাপ অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। তবে দেশটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যা এখনো দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৪ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়, ২০২২ সালের সংকটের পর এটাই প্রথম অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ।
বিশ্বব্যাংক তাদের সবশেষ আপডেটে জানিয়েছে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের মধ্যেও শ্রীলঙ্কার মানুষ সংগ্রাম করছে। ২০২৪ সালে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়। যা উদ্বেগজনকভাবে বেশি।
দ্বীপ রাষ্ট্রটির শ্রমবাজার অস্থির রয়েছে। ফলে মানুষ বিদেশে সুযোগ খুঁজতে থাকায় অভিবাসন বৃদ্ধি পেয়েছে। পারিবারিক আয়, কর্মসংস্থান এবং সামগ্রিক কল্যাণ সংকট-পূর্ব স্তরের অনেক নিচে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, মজুরি এখনও ২০১৯ সালের স্তরে পৌঁছায়নি। ফলে দারিদ্র্য দ্বিগুণ হয়েছে। ব্যাংকটি পূর্বাভাসে জানিয়েছে ২০২৫ সালে শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে। এর অন্যতম কারণ হলো মার্কিন শুল্কের ফলে সৃষ্ট বৈদেশিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা।
শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালের এপ্রিলে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। এর প্রধান কারণ ছিল বৈদেশিক মুদ্রার অভাব।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র ঘাটতির কারণে কয়েক মাসের বিক্ষোভের ফলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পতন ঘটে।
এরপর উত্তরসূরী রনিল বিক্রমাসিংহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের চার বছরের বেলআউট ঋণ নিশ্চিত করেন, ভর্তুকি কমিয়ে দেন এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য কর বৃদ্ধি করেন।
আইএমএফ এই মাসের শুরুতে সতর্ক করে জানিয়েছে মার্কিন শুল্ক পুনর্বহাল করা হলে শ্রীলঙ্কার পুনরুদ্ধার ব্যাহত হতে পারে।ওয়াশিংটন দ্বীপরাষ্ট্রটির ওপর ৪৪ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করে। যা এখন ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা প্রতিশোধ নেয়নি বরং ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার জন্য আবেদন করেছে। এদিকে সেপ্টেম্বরে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থি প্রশাসন তার পূর্বসূরীর অনেক কঠোরতামূলক পদক্ষেপ বজায় রেখেছে। সূত্র: এএফপি